বারবি ডল মানবী
প্রতিক্ষণ ডেস্ক:
সকল বয়সের মানুষের কাছেই প্রিয় বারবি ডল। ১৯৫৯ সালের মার্চ মাসে আমেরিকার ম্যাটল ইনকর্পো কোম্পানীর মাধ্যমেই বিশ্বে আর্বিভাব ঘটে বারবি ডলের। রুথ হ্যান্ডলারের উদ্ভাবন এই বারবি তরুণীদের কাছে এতোটাই পছন্দের যে, অনেকেই নিজেকে সাজাতে শুরু করেছেন বারবি রূপে। প্লাস্টিকের বারবি অনুকরণে নিজেকে বারবি অনুকরণে গড়ে নিয়েছেন এমনি একজন ভ্যালেরিয়া লুকিয়ানোভা।
১৯৮৫ সালে ইউক্রেনে জন্ম নেন ভ্যালেরিয়া লুকিয়ানোভা। কিশোরী বয়স থেকেই নিজেকে সমেলে ধরেন বারবি রূপে। বারবি ডলের মতো মুখশ্রী, উজ্জ্বল সোনালী চুল আর পুতুলের মতো তার দৈহিক গড়ন। ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার পুতুল সদৃশ মানবীর এ রূপ প্রাকৃতিক নাকি কৃত্রিম এ নিয়ে অনেকের মাঝেই থাকে নানা কৌতুহল। কিন্তু এ নিয়ে ভ্যালেরিয়ার ভাষ্য,
তার এই চেহারা আর দৈহিক গড়ন বিধাতার দান আর সামান্য প্রসাধনীর ছোঁয়া মাত্র। নিয়মিত যোগব্যায়াম, পরিমিত খাদ্য গ্রহণ ও পরিকল্পনা মাফিক জীবন-যাপন এর অন্যতম কারণ।
২০০৭ সালে মিস ডায়মন্ড ক্রাউন অব দ্য ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় ৩০০ জন সুদর্শনাকে হারিয়ে মুকুট জিতে নেন। এরপর ইন্টারনেট জগতের মাধ্যমে ভ্যালেরিয়ার ছবি দেখে অনেকেই চমকে উঠেন এবং সেই সাথে বাড়তে থাকে তার পরিচিতি।
২০১২ ও ২০১৩ সালে রাশিয়ার একটি টিভি চ্যানেলের সাফাৎকারে, ভ্যালেরিয়া জানান, বারবিরূপ নেয়ার পেছনে কোন কৃত্রিমতা নেই। আর এই অনুষ্ঠানের পর থেকেই বেড়ে যায় তার ভক্তের সংখ্যা ২০১৪ সাল পর্যন্ত ফেসবুকে তার ফলোয়ারের সংখ্যা ছিলো ৯ লাখ ৯৭ হাজার ৮১২ জন।
বারবি প্রেমী অনেকেই মনে করছেন, ভ্যালেরিয়ার মতো নিখুঁত বারবি ডল সদৃশ মানবী আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
প্রতিক্ষণ/এডি/এস.আর.এস